সরকার পরিবর্তনের ডাক দিয়ে যুক্তরাজ্যে নতুন ভোটের আহ্বান মাস্কের

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  লন্ডনে অভিবাসনবিরোধী আন্দোলন নতুন মাত্রা পেয়েছে। শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল তিনটার পর সেন্ট্রাল লন্ডনের হোয়াইটহলে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অংশ নেয় লাখো মানুষ। ডানপন্থি নেতা টমি রবিনসন এর আহ্বানে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। খবর বিবিসি।

 

‘ইউনাইট দ্য কিংডম’ শীর্ষক এ কর্মসূচিতে আয়োজকদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিডিও বার্তায় অংশ নেন ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, “আপনারা পারবেন না; আমাদের চার বছর অপেক্ষা করা বা পরবর্তী নির্বাচন যতদিনেই হোক— এটি দীর্ঘ সময়। কিছু না কিছু করতে হবে, পার্লামেন্ট ভেঙে নতুন ভোট আয়োজন করতে হবে।”

বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাজ্য ও ইংল্যান্ডের পতাকা হাতে রাস্তায় নামে। এ সময় মার্কিন ও ইসরায়েলি পতাকাও দেখা যায়, এমনকি অনেকেই পরেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর প্রচারণার ‘মেক আমেরিকা গ্রেইট এগেইন’ টুপি। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এর বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়, প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘ওদের ফেরত পাঠাও’। শিশু সহ পরিবারের সদস্যদেরও মিছিলে দেখা গেছে।

লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, সমাবেশে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ দেখা দেয়, পুলিশের দিকে কাচের বোতল, লোহার পাইপ, বিয়ারের ক্যান নিক্ষেপ করা হয়। সহিংসতার অভিযোগে অন্তত নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দিনভর নিরাপত্তা দিতে ১ হাজার ৬০০ এর বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়, যার মধ্যে ৫০০ এসেছিলেন অন্যান্য অঞ্চল থেকে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, একই সময়ে কাছাকাছি এলাকায় পাল্টা প্রতিবাদ কর্মসূচি ‘স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম’-এ প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ অংশ নেন।

ব্রিটেনে অভিবাসন এখন বড় রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে দেশটিতে পৌঁছেছে ২৮ হাজারের বেশি অভিবাসী, যা রেকর্ডসংখ্যক। সমর্থকদের মতে, লাল-সাদা ইংল্যান্ডের পতাকা এখন জাতীয় গৌরবের প্রতীক; তবে বর্ণবাদবিরোধী কর্মীদের কাছে এটি বিদেশিদের প্রতি শত্রুতার বার্তা।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» যাত্রীবাহী বাসের চাপায় অটোচালকসহ দুজন নিহত

» আবারও রেকর্ড গড়েছে স্বর্ণের দাম

» পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

» টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ডাবল সেঞ্চুরি

» ছেলের বন্ধুরা আমাকে ‘দিদি’ বলে ডাকে: শ্রাবন্তী

» কিছু আসনের লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর চাইছে: সালাহউদ্দিন

» গাজায় গণহত্যা চলছে, দায়ী ইসরায়েল: জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন

» বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আরও ১১২৬ জন আসামি গ্রেফতার

» ফখরুল-আব্বাসসহ ৬৭ জনকে অব্যাহতি দিলো আদালত

» জামায়াতের আন্দোলন সরকারবিরোধী না : ব্যারিস্টার ফুয়াদ

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সরকার পরিবর্তনের ডাক দিয়ে যুক্তরাজ্যে নতুন ভোটের আহ্বান মাস্কের

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  লন্ডনে অভিবাসনবিরোধী আন্দোলন নতুন মাত্রা পেয়েছে। শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল তিনটার পর সেন্ট্রাল লন্ডনের হোয়াইটহলে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অংশ নেয় লাখো মানুষ। ডানপন্থি নেতা টমি রবিনসন এর আহ্বানে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। খবর বিবিসি।

 

‘ইউনাইট দ্য কিংডম’ শীর্ষক এ কর্মসূচিতে আয়োজকদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিডিও বার্তায় অংশ নেন ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, “আপনারা পারবেন না; আমাদের চার বছর অপেক্ষা করা বা পরবর্তী নির্বাচন যতদিনেই হোক— এটি দীর্ঘ সময়। কিছু না কিছু করতে হবে, পার্লামেন্ট ভেঙে নতুন ভোট আয়োজন করতে হবে।”

বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাজ্য ও ইংল্যান্ডের পতাকা হাতে রাস্তায় নামে। এ সময় মার্কিন ও ইসরায়েলি পতাকাও দেখা যায়, এমনকি অনেকেই পরেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর প্রচারণার ‘মেক আমেরিকা গ্রেইট এগেইন’ টুপি। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এর বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়, প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘ওদের ফেরত পাঠাও’। শিশু সহ পরিবারের সদস্যদেরও মিছিলে দেখা গেছে।

লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, সমাবেশে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ দেখা দেয়, পুলিশের দিকে কাচের বোতল, লোহার পাইপ, বিয়ারের ক্যান নিক্ষেপ করা হয়। সহিংসতার অভিযোগে অন্তত নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দিনভর নিরাপত্তা দিতে ১ হাজার ৬০০ এর বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়, যার মধ্যে ৫০০ এসেছিলেন অন্যান্য অঞ্চল থেকে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, একই সময়ে কাছাকাছি এলাকায় পাল্টা প্রতিবাদ কর্মসূচি ‘স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম’-এ প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ অংশ নেন।

ব্রিটেনে অভিবাসন এখন বড় রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে দেশটিতে পৌঁছেছে ২৮ হাজারের বেশি অভিবাসী, যা রেকর্ডসংখ্যক। সমর্থকদের মতে, লাল-সাদা ইংল্যান্ডের পতাকা এখন জাতীয় গৌরবের প্রতীক; তবে বর্ণবাদবিরোধী কর্মীদের কাছে এটি বিদেশিদের প্রতি শত্রুতার বার্তা।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com